করোনাকালে বৃদ্ধাশ্রমে বাড়ছে আশ্রয়নহীন বাবা-মা
করোনাকালে আবারও শুনতে হচ্ছে অমানবিকতার গল্প। বৃদ্ধাশ্রমে বাড়ছে আশ্রয়নহীন বাবা-মায়ের সংখ্যা। যাদের অনেককে আবার আনা হয়েছে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে। চার দেয়ালের ঘেরাটোপে প্রিয় সন্তানের জন্য কেউ ফেলছেন অশ্রু। কেউবা আবার মনেই করতে চাইছেন না তাদের।
গল্পগুলো যতোটা না একাকীত্বের, যতোটা না নিঃসঙ্গতার তারও চেয়ে বেশি যন্ত্রণার আর অবর্ণনীয় কষ্টের। বলছি একটি বৃদ্ধাশ্রমের কথা। অতীতের সুখ গল্পগুলো আঁকড়ে ধরে যেখানে বসবাসপথ থেকে কুড়িয়ে আনা বাবা-মায়ের। যদিও পেছনের কথা জানতে চাইলে বলেন, মনে নেই কিছুই।
এছাড়া আর কিইবা উপায় ? যে সন্তান বোঝেনা মায়ের দশ মাস দশ দিনের কষ্ট, বোঝেনা বড় হবার পেছনে বাবার কাঠখড় পোড়ানো পরিশ্রম, কি লাভ মনে রেখে সে সন্তানকে ? আছে কি কোনো মনকষ্ট কিংবা অভিশাপ।
করোনার এমন দুঃসহ দুঃসময়ে ভালো নেই সেই বাবা-মায়েরা। বলছি দক্ষিণ পাইকপাড়ার চাইল্ড এন্ড ওল্ড এ্যজ কেয়ারের কথা। সময়ের হাত ধরে যদিওবা চলছে, তবে ভবিষ্যতের চিন্তায় কপাল জুড়ে এখন যে শুধুই দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ।
গল্পটা এখানেই তো শেষ নয়, এখনও ঢের বাকী রয়েছে করোনার বিরুপ পাঁচালীর। কুড়িয়ে আনা বাবা-মায়ের সংখ্যা নাকি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ঢের বেড়েছে এই করোনায়।
শুধু এই একটি বৃদ্ধাশ্রম তো নয়, ভালো নেই শহর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এমন কোনো স্বর্গের কুঁড়েঘরই। যাদের জীবন আসলে জীবনকেই দিয়েছে ফাঁকি, চার দেয়ালের দীর্ঘ নিঃশ্বাসে তাদের কাছে লকডাউন বলে কিছু নেই। তবুও জীবনকে খুঁজে ফেরেন।
বাবা-মায়ের বিশ্বাসের সেই গল্পটুকোই না হয় এই করোনাকালে বাঁচিয়ে রাখি আমরা।